দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারাকে কেন সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, সরকারের কাছে তার কারণ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। একই সাথে সম্পত্তির হিসাব তলবের বিষয়ে দুদকের প্রজ্ঞাপনকে কেন আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তারও কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যানসহ বিবাদী ১২ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া রিট আবেদনকারীর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় দুদকের দায়ের করা মামলাটি (৯ (৫)১১) কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে, তাও জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গেছে, গত বছরের ২৯ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন শিবলী স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে কাস্টমস কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সম্পত্তির হিসাব চাওয়া হয়। অথচ গত মে মাসে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় দেলোয়ার হোসেন ছাড়াও তার স্ত্রী ও ছেলেকে আসামি করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি রিটটি দায়ের করেন। রিটে অভিযোগ করা হয়, দুদক আইনকে অপব্যবহার করেই ব্যক্তি আক্রোশে এ আবেদনকারীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তাছাড়া তিনজন পৃথক করদাতা হলেও একই মামলায় সকলকে আসামি করা বেআইনি।
আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ড. কাজী আখতার হামিদ। তিনি শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান, কমলাপুরের জসিম উদ্দিন রোডের একটি ফ্ল্যাট নিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সাথে দুদকের এক কর্মকর্তার বিরোধ ছিল। এর জের ধরেই ওই কর্মকর্তা দুদক আইনকে ব্যবহার করে মামলাটি দাঁড় করান।
ঢাকা, ১৯ জুলাই (শীর্ষ নিউজ ডটকম)
No comments:
Post a Comment