Monday, 20 June 2011

আইনমন্ত্রীর বক্তব্য ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের ওপর 'নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ': এড. তাজুল


যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। তিনি এ ঘটনাকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের ওপর নির্বাহি বিভাগের 'নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ' উল্লেখ করে নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে আশংকা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে আহূত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ রোববার সচিবালয়ে যুদ্ধাপরাধ বিচার সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, আগামী জুলাই মাসেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে। আগামী মাসে আটক দু'জনের এবং আগস্ট মাসে অন্যদের বিচার হবে বলেও মন্ত্রী জানান।

আইনমন্ত্রীর এ বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এ ধরনের বক্তব্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে আমাদের আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করে। তিনি বলেন, যেখানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন হয়নি, সেখানে কিসের ভিত্তিতে মন্ত্রী বিচার শুরুর নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেন। এ প্রসঙ্গে তাজুল ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন ও ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন বিধি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের ৯ ধারা অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন ছাড়া বিচারের তারিখ নির্দিষ্ট করার সুযোগ নেই। তাছাড়া ট্রাইব্যুনাল বিধিমালার বিধি ২৯ (২) অনুযায়ী তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনাপূর্বক যথোপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়া গেলে ট্রাইব্যুনাল আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খারিজ করে বা অব্যাহতি দিতে পারেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ করেছেন মর্মে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ না পাওয়া গেলে বিধি ৩৭ অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্তকে অব্যাহতি দিতে পারেন। এসব প্রক্রিয়া অনুসরণের আগেই বিচার শুরুর ঘোষণার কোনো সুযোগ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
 শীর্ষ নিউজ ডটকম, ২০ জুন

No comments:

Post a Comment